পয়েন্টসম্যান এর কাজ কি
একটি সুইচম্যান বা পয়েন্টম্যান একজন রেল পরিবহন শ্রমিক, যার মূল কাজ একটি রেলওয়েতে বিভিন্ন রেলওয়ে সুইচ বা পয়েন্ট পরিচালনা করা। এটি এমন একটি ব্যক্তিকেও উল্লেখ করে যাকে একটি রেলওয়ে ইয়ার্ড বা টার্মিনালে গাড়ি চালানোতে সহায়তা করে বা কয়লা খনিতে আমার ট্র্যাকের সুইচ পরিচালনাকারী কেউ।
পয়েন্টসম্যান এর কাজ:
ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জরুরি কাজে নিয়োজিত থাকে পয়েন্টসম্যান পদের কর্মচারীরা। স্টেশন ছাড়ার আগে ট্রেনচালকের কাছে ট্র্যাক ও অন্যান্য বিষয়ে স্টেশনমাস্টারের নির্দেশনা পৌঁছে দেন পয়েন্টসম্যান। কোথাও কোথাও রেল ট্র্যাক পরিবর্তনের কাজটিও করেন পয়েন্টসম্যান। পয়েন্টসম্যানকে রেলওয়ের পয়েন্টসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় যখন একটি ট্রেনের লােকোমাস্টার সিগন্যাল দেখতে ব্যর্থ হন অথবা সিগন্যালিং সিস্টেম কোনাে কারণে ফেল করে, তখন সেই ট্রেনটিকে নিরাপদে নিয়ে আসার মতাে গুরুত্বপূর্ণ কাজ পয়েন্টসম্যানকে করতে হয়। একটি ট্রেনের ইঙিন কাটা থেকে শুরু করে ট্রেনটির মধ্যে বিভিন্ন কোচ যােজন-বিয়ােজন করে সাজানােও তার কাজ। মালবােঝাই গাড়ি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে সঠিক জায়গায় প্লেসমেন্ট দেওয়াও তার দায়িত্বের মধ্যে। পড়ে।
points-man বা pointsman পদের কর্মচারীরা পি-ম্যান ( p-man ) নামেও পরিচিত। এই পদে লোকবল সংকট থাকলেও তা কাটিয়ে উঠতে পারছে না রেলওয়ে। এতে করে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রেলওয়ের যাত্রী ও পরিবহন সেবা।
২০২০’ এর পূর্বে এই পদে সরাসরি নিয়োগের সুযোগ ছিল না। তখনকার নিয়োগ বিধি অনুযায়ী রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে গেটকিপার, পোর্টার, সিলম্যান ও ওয়েটিংরুম বেয়ারাসহ অন্যান্য চতুর্থ শ্রেণীর পদে ন্যূনতম ৩ বছর কর্মরতদের মধ্য থেকে পয়েন্টসম্যান নিয়োগ দেয়া হতো।
পয়েন্টসম্যানের বেতন: সদ্য যে নিয়োগ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে পয়েন্টসম্যানের পদের বেতন ধরা হয়েছে ৮,৮০০-২১,৩১০/= টাকা (গ্রেড-১৮)।
প্রমোশনঃ একজন পয়েন্টসম্যান কাজের দক্ষতা, সিনসিয়ারিটি অনুযায়ী চীফ ইয়ার্ড মাস্টার পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ইয়ার্ড ফোরম্যান পদে ৬ বছর চাকুরীকাল অতিক্রম করার পর ট্রেন পরিচালক বা গার্ড পদে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নিয়ােগ পরীক্ষা যেভাবে: নিয়ােগ পরীক্ষা হবে দুই ধাপে। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা হবে ৭০ নম্বরের। সময় বরাদ্দ ৬০ মিনিট। এরপর ৩০ নম্বরের মৌখিক। লিখিত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ কমপক্ষে ৩৫ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষা। হবে-বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, গণিত ২০ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত যে প্রশ্ন আসে তার উত্তর দু-এক কথায় লিখতে হয়। শুধু গণিতের ক্ষেত্রে সমাধান করে দেখিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর ১। কোনাে নেগেটিভ মার্কিং নেই। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার মুখােমুখি হতে।